মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মুরগির বাচ্চায় দিনে ৯ কোটি টাকা লোপাট নরসিংদীতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উঠান বৈঠক কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হরিপুরে গ্রামবাংলার ঝোপঝাড় হতে বিলুপ্তির পথে কুচফল ওয়াজের মাঠ কাপানো আর নারীদের খাট কাপানো হুজুর মুফতি মুহাম্মদ শফিকুজ্জামান দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় ৮০০ নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: রিজভী নির্বাচন কবে, সেই ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকেই : প্রেস উইং মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী রহিম ও তার ছেলের অত্যাচার নির্যাতনে অসহায় এলাকাবাসী উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল
চোখের দিকে তাকিয়ে ঘুষ নির্ধারণ করতেন জি কে শামীম

চোখের দিকে তাকিয়ে ঘুষ নির্ধারণ করতেন জি কে শামীম

‘সুবিধা প্রত্যাশী নতুন কেউ আমার অফিসে এলে প্রথমেই তার চোখের দিকে তাকাতাম। তাকিয়ে বুঝার চেষ্টা করতাম তার রেঞ্জ কতো। সেই অনুযায়ী তাকে টাকা দিতাম। সন্তুষ্ট মনে ফিরে যেতেন অফিস থেকে। চোখ দেখেই আমি বুঝতে পারতাম কাকে কিভাবে ম্যানেজ করতে হবে।’

আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত জিকে শামীম এমন তথ্যই দিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন এক কর্মকর্তার কাছ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতন থেকে গ্রেপ্তার করা হয় যুবলীগ নেতা পরিচয় দেওয়া ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে। এরপর তাঁর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান জি কে বিল্ডার্সের কার্যালয়ে অভিযান চালায় র‍্যাব। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র, মানিলন্ডারিং ও দুর্নীতির মামলা হয়েছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর শামীমকে অস্ত্র ও মাদক মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে মানি লন্ডারিং আইনে তাঁকে ৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

ইতোমধ্যে শামীমের বিরুদ্ধে করা অস্ত্র মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ দুর্নীতির মামলায় সাত দিন করে রিমান্ডে শেষে গত ৭ নভেম্বর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত ২১ অক্টোবর শামীম ও তাঁর মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই দিন খালেদের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করে দুদক। এ মামলায় তাঁকে ২৭ অক্টোবর রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে জিকে শামীম কারাগারে রয়েছেন।

জিকে শামীম বলেছেন, ‘আমার কাছে কেউ এলে প্রথমেই চোখের দিকে তাকাই। চোখ দেখেই আমি বুঝতে পারি কে কি চায়। কাকে কত টাকা ঘুষ দিলে খুশি হবেন সেটাও চোখের দিকে তাকিয়ে আন্দাজ করতে পারি।’

শামীম জানান, ‘আন্দাজ করে যাদেরকে টাকা দিয়েছেন তাদের সাবই খুশি মনেই অফিস থেকে বিদায় নিয়েছেন বলেও জানান তিনি। এক কথায় ঘুষ বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছিলেন জিকে শামীম।’

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com